ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ইরানে মার্কিন হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল

আপলোড সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০১:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০১:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
ইরানে মার্কিন হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল
হামলা পাল্টা হামলায় কদিন ধরেই আলোচনায় ইরান-ইসরায়েল। চারদিক যখন যুদ্ধের দামামা ঠিক তখনই এই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় অধিক সতর্কতার কারণে আকাশসীমা বন্ধ করেছে ইসরায়েল। 

দ্য টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এক বিবৃতিতে ইসরাইল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে ইসরাইলের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দেশের আকাশসীমা প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য বন্ধ থাকবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে স্থল সীমান্তপথগুলো স্বাভাবিকভাবে চালু রয়েছে।

এর আগে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের মূল পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করা হয়েছে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌন ৬টার দিকে সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে লিখেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রতে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। যারমধ্যে আছে ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহান। (হামলায় অংশ নেওয়া) সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।’

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রে ভারি বোমা ফেলেছেন তারা। হামলা চালানো বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।

এদিকে ইরানের মার্কিন হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে করা পোস্টে মহাসচিব বলেন, ইরানে মার্কিন হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানের হামলা বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে যা ইতিমধ্যে চরম অবস্থায় রয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে–যার পরিণতি বেসামরিক নাগরিক, অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উত্তেজনা কমাতে এবং জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য নিয়মের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বিপজ্জনক সময়ে বিশৃঙ্খলার আবর্ত এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক কোনো সমাধান নেই। সামনের একমাত্র পথ হলো কূটনীতি। একমাত্র আশা হলো শান্তি।’।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ